Thursday, March 27, 2014

পুঁজিবাজারে আসছে ১৮ কোম্পানির আইপিও

পুঁজিবাজারের আসার অপেক্ষায় আছে বিভিন্ন ১৮টি কোম্পানি। কোম্পানিগুলো প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে নতুন শেয়ার ইস্যু করে বাজার থেকে অর্থ সংগ্রহে আগ্রহী। এদের মধ্যে একটি কোম্পানি বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে এবং বাকী ৫টি আসবে ফিক্সডপ্রাইস পদ্ধতিতে। তবে বিষয়টি নির্ভর করছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন পাওয়ার উপর।
 
আইপিওভুক্তির অপেক্ষায় থাকা কোম্পগুলো হলো- বস্ত্র, জ্বালানি, খাদ্য, সিমেন্ট ও সেবা খাতের বলে জানা গেছে।
এএফসি ক্যাপিটাল ও ইম্পেরিয়াল ক্যাপিটাল : বস্ত্র, খাদ্য ও সেবা খাতের ৬টি কোম্পানি ইস্যু বব্যবস্থাপক কোম্পানি এএফসি ক্যাপিটাল ও ইম্পেরিয়াল ক্যাপিটাল লিমিটেডের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসার আপেক্ষায়। কোম্পানির ছয়টি হচ্ছে- খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, তুং হাই নিটিং অ্যান্ড ডাইয়িং লিমিটেড, শাশা ডেনিমস লিমিটেড, সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, বিএমএসএল ইনভেস্টমেন্ট ও সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইল লিমিটেড।

জানা গেছে,কোম্পানি ছয়টি বাজার থেকে প্রায় ৬৬২ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চায়। কোম্পানি ছয়টির ইস্যু ম্যানেজার এ এফ সি ক্যাপিটাল ও ইম্পেরিয়াল ক্যাপিটাল লিমিটেড ইতোমধ্যে তাদের খসড়া প্রসপেক্টাস বিএসইসিতে জমা দিয়েছে।

কোম্পানি ৬টির মধ্যে মধ্যে খান ব্রাদার্সের ইস্যু মানেজারের দায়িত্বে রয়েছে- এ এফ সি ক্যাপিটাল লিমিটেড। অন্য ৫টি কোম্পানির ইস্যুয়ার হিসাবে যৌথভাবে কাজ করছে এএফ সি ক্যাপিটাল ও ইম্পেরিয়াল ক্যাপিটাল লিমিটেড।

জানা যায়, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ লিমিটেড পুঁজিবাজারে ১০ টাকা দরে শেয়ার বিক্রির জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি দুই কোটি শেয়ার ছেড়ে ২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে।
তুংহাই নিটিং অ্যান্ড ডাইয়িং লিমিটেডও অভিহিত মূল্যে শেয়ার বিক্রি করবে। ইতোমধ্যে কোম্পানিটিকে পুঁজিবাজার থেকে টাকা তোলার অনুমোদন দিয়েছে বিএসইসি। কোম্পানি বাজারে তিন কোটি ৫০ লাখ শেয়ার ইস্যু করবে। আর এর মাধ্যমে বাজার থেকে সংগ্রহ করবে ৩৫ কোটি টাকা।
শাশা ডেনিমস আইপিও’র মাধ্যমে বাজার থেকে সংগ্রহ করবে ২৫০ কোটি টাকা। পাঁচ কোটি শেয়ার ইস্যু করে তারা এ টাকা সংগ্রহ করবে। এ জন্য কোম্পানিটি ৪০ টাকা প্রিমিয়ামসহ ৫০ টাকা দরে শেয়ার বিক্রির অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছে। বিএসইসি অনুমোদন দিলে কোম্পানিটি বাজারে শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে টাকা সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু করবে।

সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ ১৫ টাকা প্রিমিয়ামে শেয়ার বিক্রির আবেদন করেছে। ১৫ টাকা প্রিমিয়ামসহ শেয়ারের প্রস্তাবিত বিক্রি মূল্য ২৫ টাকা। বিএসইসি অনুমোদন পেলে এ কোম্পানি তিন কোটি শেয়ার ইস্যু করবে। আর এর মাধ্যমে বাজার থেকে সংগ্রহ করবে ৭৫ কোটি টাকা।

১৫ টাকা প্রিমিয়ামে শেয়ার বিক্রির আবেদন করেছে বিএমএসএল। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যসহ শেয়ারের প্রস্তাবিত বিক্রি মূল্য ২৫ টাকা। বিএসইসি অনুমোদন পেলে এ কোম্পানি এক কোটি ৫০ লাখ শেয়ার ইস্যু করবে। আর এর মাধ্যমে বাজার থেকে সংগ্রহ করবে ৩৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
আর সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইল লিমিটেড ১০টাকা অভিহিত মূল্যে শেয়ার বিক্রির জন্য আবেদন করেছে বিএসইসির কাছে। বিএসইসি’র অনুমোদন পেলে এ কোম্পানি চার কোটি ৫০ লাখ শেয়ার ইস্যু করবে। আর এর মাধ্যমে বাজার থেকে সংগ্রহ করবে ৪৫ কোটি টাকা।

বানকো ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ও আলফা ক্যাপিটাল লিমিটেড : বানকো ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ও আলফা ক্যাপিটাল লিমিটেডের মাধ্যমে ৩টি কোম্পানি বাজার থেকে প্রায় ৩৩৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চায়।

সূত্রটি জানায়, ইফাদ অটোস লিমিটেড পুঁজিবাজারে ৩৫ টাকা প্রিমিয়ামসহ ৪৫ টাকা দরে শেয়ার বিক্রির জন্য আবেদন করেছে। এ কোম্পানিটি দুই কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৯৫ কোটি ৬২ লাখ ৫০ হাজার টাকা সংগ্রহ করবে।

করিম স্পিনিং আইপিও’র মাধ্যমে বাজার থেকে সংগ্রহ করবে ১২০ কোটি টাকা। ৩ কোটি শেয়ার ইস্যু করে তারা এ টাকা সংগ্রহ করবে। এ জন্য কোম্পানিটি ৩০ টাকা প্রিমিয়ামসহ ৪০ টাকা দরে শেয়ার বিক্রির অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছে। বিএসইসি অনুমোদন দিলে কোম্পানিটি বাজারে শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে টাকা সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু করবে।

মেট্রোসেম সিমেন্ট লিমিটেড ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের সঙ্গে ৩০ টাকা প্রিমিয়ামসহ ৪০ টাকা দরে শেয়ার বিক্রির জন্য আবেদন করেছে বিএসইসির কাছে। বিএসইসি’র অনুমোদন পেলে এ কোম্পানি ৩ কোটি শেয়ার ইস্যু করবে। এর মাধ্যমে বাজার থেকে সংগ্রহ করবে ১২০ কোটি টাকা।

আইডিএলসি ইনভেস্টেমেন্ট : আইডিএলসি ইনভেস্টেমেন্টের হাতে থাকা ৩টি কোম্পানি হলো- ফারইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডাইয়িং ইন্ড্রাসটিজ লিমিটেড, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটে এবং তুসিফা ইন্ড্রাসটিজ লিমিটেড। এর মধ্যে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড আসছে বুক বিল্ডিং এর মাধ্যমে।

জানা গেছে, ফারইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডাইয়িং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ১০টাকা ফেস ভ্যালুর সঙ্গে ১৭ টাকা প্রিমিয়ামসহ ২৭ টাকার জন্য আবেদন করেছিল। ইতোমধ্যে বিএসইসি কোম্পানিটির অনুমোদন দিয়েছে। এর ফলে তারা দুই কোটি ৫০ লাখ শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে বাজার থেকে ৬৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা সংগ্রহ করবে।

অন্যদিকে, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন ৪৮ টাকার জন্য আবেদনপত্র জমা দিয়েছে। কোম্পানিটি ৪ কোটি ৫৪ লাখ শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ২১৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা সংগ্রহ করবে।

দুই কোটি ৫০ লাখ শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে বাজার থেকে কোম্পানিটি ৭৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা সংগ্রহ করবে তুসিফা ইন্ড্রাসটিজ লিমিটেড। আর এ জন্য কোম্পানিটি ২০ টাকা প্রিমিয়ামসহ ৩০ টাকার জন্য আবেদন করেছে। বিএসইসি অনুমোদন দিলে কোম্পানিগুলো বাজারে শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে টাকা সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু করবে।

লঙ্কা-বাংলা ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড: লঙ্কা-বাংলা ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের হাতে থাকা কোম্পানিগুলো হলো- ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, হোটেল পেনিনসুলা চিটাগং লিমিটেড, আমান ফিড, আমান সিমেন্ট মিল সিমেন্ট, আমান কটন ফেব্রিক্স ও কাটিং এজ লিমিটেড।
সূত্র জানায়, কোম্পানি ৬টি বাজার থেকে প্রায় ৮৮৩ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চায়। কোম্পানি ছয়টির মধ্যে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ ও প্ল্যান্ট সরবরাহের ব্যবসা করে থাকে। আর হোটেল পেনিনসুলা চিটাগং লিমিটেড একটি থ্রি-স্টার হোটেল, আমান ফিড খাদ্য খাতের, আমান সিমেন্ট মিল সিমেন্ট উৎপাদন করে,আমান কটন ফেব্রিক্স পোশাকের তৈরি করে থাকে। আর আরেকটি হলো কাটিং এজ লিমিটেড।

ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড পুঁজিবাজারে আসছে বুক বিল্ডিং পদ্ধতির মাধ্যমে। বাকী পাঁচটি আইপিও আসবে ফিক্সড প্রাইস বা নির্ধারিত মূল্য পদ্ধতির আওতায়। এদের মধ্যে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন ও হোটেল পেনিনসুলা চিটাগং লিমিটেডের অনুমোদন দিয়েছে বিএসইসি।

জানা যায়, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন ৬০ টাকা দরে শেয়ার বিক্রির জন্য আবেদন করেছে। এ কোম্পানিটি ৩ কোটি ৩০ লাখ শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ১৯৮ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। এদিকে, হোটেল পেনিনসুলা চিটাগং লিমিটেড ২০ টাকা প্রিমিয়ামে শেয়ার বিক্রির আবেদন করেছে। দশ টাকা অভিহিত মূল্যসহ শেয়ারের প্রস্তাবিত বিক্রি মূল্য ৩০ টাকা। বিএসইসির অনুমোদন পেলে এ কোম্পানি পাঁচ কোটি ৫০ লাখ শেয়ার ইস্যু করবে। আর এর মাধ্যমে বাজার থেকে সংগ্রহ করবে ১৬৫ কোটি টাকা।

আমান ফিড আইপিও’র মাধ্যমে বাজার থেকে সংগ্রহ করবে ৭২ কোটি টাকা। দুই কোটি শেয়ার ইস্যুর তারা এ টাকা সংগ্রহ করবে। এ জন্য কোম্পানিটি ২৬ টাকা প্রিমিয়ামসহ ৩৬ টাকা দরে শেয়ার বিক্রির অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছে। বিএসইসি অনুমোদন দিলে কোম্পানিগুলো বাজারে শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে টাকা সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু করবে।

আমান সিমেন্ট ২০ টাকা প্রিমিয়ামে শেয়ার বিক্রির আবেদন করেছে। দশ টাকা অভিহিত মূল্যসহ শেয়ারের প্রস্তাবিত বিক্রি মূল্য ৩০ টাকা। বিএসইসি অনুমোদন পেলে এ কোম্পানি ১ কোটি ২০ লাখ শেয়ার ইস্যু করবে। আর এর মাধ্যমে বাজার থেকে সংগ্রহ করবে ৩৬০ কোটি টাকা।

৩০ টাকা প্রিমিয়ামে শেয়ার বিক্রির আবেদন করেছে আমান কটন ফেব্রিক্স। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যসহ শেয়ারের প্রস্তাবিত বিক্রি মূল্য ৪০ টাকা। বিএসইসি অনুমোদন পেলে এ কোম্পানি দুই কোটি ১০ লাখ শেয়ার ইস্যু করবে। আর এর মাধ্যমে বাজার থেকে সংগ্রহ করবে ৮৪ কোটি টাকা।

আর কাটিং এজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড পাঁচ টাকা প্রিমিয়ামে শেয়ার বিক্রির আবেদন করেছে। দশ টাকা অভিহিত মূল্যসহ শেয়ারের প্রস্তাবিত বিক্রি মূল্য ১৫ টাকা। বিএসইসি অনুমোদন পেলে এ কোম্পানি ৩০ লাখ শেয়ার ইস্যু করবে। আর এর মাধ্যমে বাজার থেকে সংগ্রহ করবে ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

No comments:

Post a Comment

IMPORTANT NEWS FOR RECENT IPO IN BANGLADESH SHARE MARKET




Presently Available IPO Form of Emerald Oil, Matin Spinnings






For support please mail me or post a comment here in related topics.


For Watching Live Cricket Please visit "Share Your Ideas"